বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্যবসায়িক বৃদ্ধি

Spread the love


চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানতের বহর বেড়ে হল 66,127.7 কোটি টাকা

• মোট গ্রাহক সংখ্যা 2.08 কোটি
• গত অর্থবর্ষের তুলনায় মোট আমানত 34.4 শতাংশ হারে বেড়ে হয়েছে 66,127.7 কোটি টাকা।
• গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রদত্ত ঋণের বহর 19.4 শতাংশ হারে বেড়ে হয়েছে 76,614.6 কোটি টাকা।
• গত অর্থবর্ষের তুলনায় কাসা ( কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্টে) বৃদ্ধি হয়েছে 56.2 শতাংশ হারে।
• নিট মুনাফা 920 কোটি টাকা। আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় তা বেড়েছে 67.3 শতাংশ হারে ।

কলকাতা, ২ নভেম্বর: দেশের অন্যতম সার্বজনীন ব্যাঙ্ক- বন্ধন ব্যাঙ্ক চলতি ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের আর্থিক ফলাফল আজ ঘোষণা করল। সমাবেশি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বন্ধনের মননেই রয়েছে। এ হেন বন্ধনের মোট ব্যবসা (আমানত ও ঋণ) গত আর্থিক বছরের তুলনায় 25.90 শতাংশ বেড়ে হয়েছে 1,42,742.3 কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে যাত্রা শুরু করেছিল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অগস্ট মাসে ব্যাঙ্কের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। মাত্র এই ৫ বছরেই দেশ জুড়ে বন্ধনের 4,701 গুলি ব্যাঙ্কিং আউটলেট তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে 2.08 কোটি গ্রাহককে পরিষেবা দেয় বন্ধন। বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট কর্মী সংখ্যা এখন 45,549।
দেশে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানতের বহর গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে 34.4 শতাংশ হারে বেড়েছে।বর্তমানে আমানতের পরিমান 66,127.7 কোটি টাকা. গত অর্থবর্ষের তুলনায় কাসা ( কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্টে) 56.2 শতাংশ হারে বেড়ে হয়েছে 25,279 কোটি টাকা। মোট আমানতের মধ্যে এখন কাসা অনুপাত হল 38.2 শতাংশ।
বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণের খাতাতেও বৃদ্ধি হয়েছে। গ্রাহকদের গত অর্থ বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যে পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছিল তার তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ঋণের খাতায় 19.4 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। মোট ঋণের বহর এখন 76,614.6 কোটি টাকা।
ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) যে কোনও ব্যাঙ্কের দৃঢ়তাকে চিহ্নিত করে। বন্ধন ব্যাঙ্কের সিএআর এখন 27.8 শতাংশ। যা প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা হয়েছে 920 কোটি টাকা যা ৩০ জুন ২০২০ তে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের তুলনায় 67.3 শতাংশ বেশি।
ব্যাঙ্কের আর্থিক ফলাফল প্রসঙ্গে বন্ধনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাস একেবারেই লকডাউন ছিল দেশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের অনেকাংশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কঠিন সময়ের মধ্যেও আমাদের গ্রাহকরা যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এবং বন্ধনের উপর যে ভাবে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, তার ফলেই আমাদের বৃদ্ধি হয়েছে। ” তিনি বলেন, “গ্রাহকদের আরও ভাল পরিষেবা দিতে ব্যাঙ্ক ও আমাদের কর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং তার মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে বদ্ধপরিকর।”

Author