ডাবল ডাউন-এ জন্মদিনে দেদার হুল্লোড় কলকাতার শরৎ বোস রোডে

Spread the love


দু বছর করোনা খাঁচায় জীবন যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল।এখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। রসে বশে কলকাতার মানুষ এখন জীবনের খুশি চেটেপুটে উপভোগ করতে ব্যস্ত। সুরালোকে তাই সুরাপায়ীদের গুঞ্জন। রবি কবি তো কবেই বলে গেছেন চির কুমার সভায়, দেশে অন্ন জলের ঘোর অনটন, খাও হুইস্কি সোডা আর মুরগি মর্টন। আবার অন্যত্র লিখেছেন, অভয় দাওতো বলি,আমার উইশ কি? একটি ছটাক সোডার জলে বাকি তিন পোয়া হুইস্কি ।

বাংলাতেও মদ্যপানের এক ঐতিহ্যও ছিল। আখের চাষ ছিল ব্যাপক। গুড় থেকে হতো মদ।সেখান থেকেই  গৌড় বাংলা কথার চল। ইংরেজরা বাংলা মদের সাথে মিলিয়ে খেতেন স্কচ। নাম ছিল পাঞ্চ। যা থেকে পাঞ্চ হাউস বা পাব শব্দের উৎপত্তি। স্কচের আগে বাংলায় আসে বিয়ার। ১৯শতকে তো ডাক্তারবাবুর চেম্বারে মূলত সুরা। এরপর কালের বিবর্তনে বারের উৎপত্তি। কোলকাতায় এখন দেদার বার। যে যার নিজস্বতায় ভরপুর। 

এমনই এক পানশালা মধ্য কোলকাতার শরৎ বোস রোডে নাম ডাবল ডাউন। মিন্টো পার্কের উল্টোদিকে শরৎ বোস রোডে কয়েক পা এগোলেই সুদৃশ্য অট্টালিকা। আইডিয়াল প্লাজা।

 দুজনে নিভৃতে বা দল বেঁধে জীবন উপভোগ করতে আসা যায় ডাবল ডাউন লাউঞ্জে। যেমন  সুস্বাদু খাদ্যের সম্ভার, তেমন বিশ্বের সেরা সুরার আয়োজন। উপরন্তু লাইভ মিউজিকের ব্যবস্থা।গায়কের সুমধুর কণ্ঠের গানে মেতে তৃপ্তির পেয়ালায় একটি  চুমুক যেন স্বর্গীয় অনুভূতি। প্রতিদিন মেলে একটি পেগ কিনলে একটি ফ্রি। আবার মাঝেমধ্যে দুটি পেগ নিলে একটি ফ্রি ।  রয়েছে পাওয়ার লাঞ্চ মাত্র ৫৯৯ টাকায় সাথে আবার একটা বিয়ার । গানের চর্চা থাকলে বারের ব্যান্ডে গলাও মেলাতে পারেন। শহরের অনেক সেলিব্রেটির পছন্দের স্থান ডাবল ডাউন। রবিবার ৫ জুন শহরের দুই বিশেষ অতিথি লুনা চট্টোপাধ্যায় এবং সুরজিৎ চক্রবর্তীর জন্মদিন পালন হল ডাবল ডাউনে । ডাবল ডাউন কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকজন আর নিত্য আসা অতিথিদের নিয়ে খানপিনার আয়োজন করেন। আপনি যদি সুরাপানে ইচ্ছুক না হন,তাহলেও ক্ষতি  নেই। এখানে পাবেন হরেক রকম মকটেল এবং ককটেল ।

ধূমপায়ীদের জন্যও রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। সিগারেট সরিয়ে রেখে যদি পছন্দসই ফ্লেবারের তামাকে গড়গড়ায় ফুরুৎ ফুরুৎ টান দিয়ে যদি গেয়ে ওঠেন, মেজাজ টাইতো আসল রাজা ,আমি রাজা নই, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।

Author