কিছু বিরিয়ানি ব্র্যান্ডকে সত্যিকারের বিলাসবহুল ব্র্যান্ড হতে হলে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে
রাজকীয় খাবারের নাম দিয়েই বিরিয়ানির উৎপত্তি। এটি ছিল রাজকীয় গ্যাস্ট্রোনমিক্যাল আনন্দের অংশ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এটি সাধারণ মানুষের জন্যও নিয়মিত খাবার হিসেবে বিকশিত হয়েছে। বিরিয়ানি এখন রাস্তার খাবার হিসেবে পাওয়া যায়, যা লাল কাপড়ে মোড়ানো বিশাল অ্যালুমিনিয়াম হাড়ি থেকে পরিবেশন করা হয়। রাস্তার ধারের ছোট খাবারের দোকান, খাবারের কার্ট ও ফাইন-ডাইনিং রেস্তোরাঁতে কলকাতার খাদ্যপ্রেমীদের স্বাদ মিটানোর জন্য বিরিয়ানি পরিবেশিত হয়। বিরিয়ানি এখনও নিজেকে একটি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড হিসাবে উন্নিত করতে পারে, যদি সঠিক পরিবেশে, ভাল মানের এবং ন্যায্য মূল্যে একে পরিবেশন করা হয়। এই প্রসঙ্গে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির ডিন ও “হান্ডি-সাইড চ্যাট শো” এ “ডিকোডিং লাক্স”-এর মত বিখ্যাত বইয়ের লেখক ডঃ মহুল ব্রহ্ম বলেছেন, “কিছু বিরিয়ানি ব্র্যান্ডকে সত্যিকারের বিলাসবহুল ব্র্যান্ড হতে হলে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে। এতে সকলের সমন্বয় থাকতে হবে। খাবার এবং চিন্তার জন্য খাদ্যের সমন্বয় হতে হবে।” ডাঃ ব্রাহ্মো আরও বলেছেন, একটি বিলাসবহুল বিরিয়ানি ব্র্যান্ড, বিরিয়ানিস্ক, এটি কেবল একজনের গ্যাস্ট্রোনমিক্যাল প্রবৃত্তিকে উদ্দীপিত করে না, বরং এটি একজনের আত্মীক উদ্দীপনাকে উদ্দীপিত করে। ডক্টর সৌগত ব্যানার্জী যিনি একজন শিক্ষাবিদ এবং কৌশল পরামর্শদাতা থেকে বিরিয়ানিষ্ক নামক রেস্তোরার প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি বলেন যে খাদ্যের মাধ্যমে আনন্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে, বিরিয়ানিস্ক দ্বারা পরিবেশিত বিভিন্ন ধরণের বিরিয়ানিও প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় কারন বিরিয়ানি তৈরীতে বিশেষ ধরনের প্রকৃত মসলা ব্যবহার করা হয় এবং এতে কোনোরকম ডালডা এবং কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় না।