সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো দুদিন ধরে কলকাতা সিলেট উৎসব ২০২৪

Spread the love



ইন্দ্রজিৎ আইচ

দেশ ভাগ ও ৭১ এর পূর্ববঙ্গ থেকে আসা সিলেট অঞ্চলের যারা পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত কিছু সিলেটিয়দের দ্বারা ১৯৯৫ সালে গঠিত হয় দক্ষিণ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশন। ১৯৯৫ সাল থেকে সিলেট উৎসব আয়োজন করে আসছে প্রতি বছর। এই বছর তারা ৩০ বছর উদযাপন করলো দুদিন ধরে যোধপুর পার্ক দুর্গাপুজোর অডিটোরিয়ামে। যার মূল উদ্দেশ্য হল সিলেট অঞ্চলের সংস্কৃতি ও লোক সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখা আর এই প্রজন্মের সিলেটিদের কাছে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া,তার সাথে সমাজ সেবা মূলক কাজ করা। এবার সেই সিলেট অ্যাসোসিয়েশন এর ৩০ বছর পূর্ন হলো। সেই উপলক্ষে ৩০ বছর উদযাপন হলো ২৭ ও ২৮ দুইদিন ধরে যোধপুর পার্ক দুর্গাপুজোর অডিটোরিয়ামে।এই বছরের উৎসবে অতিথি ছিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ( মেয়র সিলেট সিটি করপোরেশন) মো:ফজলুর রাহমান ( মেয়র মৌলভীবাজার পৌরসভা) জোৎস্না ইসলাম ( মেয়র লন্ডন বোরো রেডব্রিজ) ডা: সুজিত কর পুরকায়স্থ ( ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পিয়ারলেস হসপিটাল ও বি কে রায় রিচার্স সেন্টার) এবং প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। প্রদীপ জ্বালিয়ে অতিথিরা এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। এই উৎসবে এসেছিলেন দেশ বিদেশ থেকে অনেক গণমান্য অতিথি বৃন্দ । এই দুদিনের দু বাংলার উৎসবে লোক সঙ্গীত ও রবীন্দ্র সঙ্গীত ছিলো বিশেষ ভাবে গুরুত্পূর্ন।


এই সিলেট উৎসবের প্রথমদিন রূপনিকেতন কলাকেন্দ্র র শিল্পীরা পরিবেশন করে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান-


“ধীরে ধীরে বায়ু বহিতেছে, কাজী নজরুল ইসলাম এর গান “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসমানের”। কলকাতার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অলক রায়চৌধুরী শোনালেন দুটি অনবদ্য রবীন্দ্র সংগীত বাঁধ ভেঙে দাও এবং এবার তোর মরা গাঙে। রূপরাজ সেনগুপ্ত গলায় ভালো লাগে রবীন্দ্র সঙ্গীত “বিপুল তরঙ্গরে”।


শ্রীভুমি (দক্ষিণ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশন এর সাংস্কৃতিক সংগঠন) পরিবেশন করে “আগে
কি সুন্দর দিন কাটাইতাম”। ঘটি গরম(কেপিসি মেডিকেল কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠন)নজর কাড়ে রবীন্দ্র নৃত্যে। পাশাপাশি সিলেটের এই উৎসবে দ্বিতীয়দিন এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকশিল্পী। তাদের মধ্যে রাজু চক্রবর্তী শোনালেন হাসান রাজার গান” কেনে আইলে, সোনা বন্ধু গান শুনিয়া,” অনামিকা দেব পরিবেশন করেন “দে দে পাল তুলে দে, হেলা করিস না”, অনুপম কুমার পাল গাইলেন আবদুল করিম এর গান-


” কেমনে চিনিবো তোমারে “। ডাক্তার অরূপ রতন চৌধুরী শোনালেন দুটি রবীন্দ্র সঙ্গীত “ও আমার দেশের মাটি, আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে”। এপার এবং ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে অনন্যা দাস, অন্বেষা দাস প্রাণেষ সোম, জয় শংকর চৌধুরী, শৈলী দত্তগুপ্ত, স্বরাজ ভট্টাচার্য্য, মাদল, তপন রায়, রুপনিকেতন, মিরাক্কেল চ্যাম্পিয়ন তপন দাস শিলচর শ্রীহট্ট সম্মিলনী আসাম, এস আর ভিশন পারফর্মীং আর্ট একাডেমি(আগরতলা, ত্রিপুরা) সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অপর্ণা বণিক ও সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক বাপ্পু এন্দ। এই উৎসবের সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা ও সভাপতি ছিলেন দিপ্তা দে এবং প্রদোষ রঞ্জন দে।

Author