বিশ্বরেকর্ডের সম্মানে ভারতীয় পাটের ব্যাগ,গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী মহানগরী

Spread the love

কল্লোলিনী তিলোত্তমার মুকুটে এক নতুন সংযোজন, রক্ষক ফাউন্ডেশনের হাত ধরে পৃথিবীর বৃহত্তম পাটের ব্যাগ তৈরি করে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ল কলকাতা। প্রায় আট তলা বাড়ির সমান উঁচু এই পাটের ব্যাগটি তৈরি করেছে ১৮জনের একটি বিশেষ দল। যার মধ্যে রয়েছে সংশোধনাগারের কর্মী সহ গার্হস্থ্য হিংসায় নিপীড়িত মহিলারা এবং বস্তিতে বসবাসরত দরিদ্র মানুষ। টানা সাতদিনের কঠোর পরিশ্রমে তৈরি এই বৃহত্তম ব্যাগটির উচ্চতা ৮০ ফুট এবং চওড়ায় ১০০ফুট। গত শুত্রুবার খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুলের মাঠে রক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পৃথিবীর বৃহত্তম এই পাটের ব্যাগের প্রদর্শন করা হয়। যেখানে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট,কলকাতা-র চেয়ারম্যান শ্রী বিনীত কুমার ।এছাড়াও ন্যাশনাল জুট বোর্ডের কমিশনার শ্রী মলয় চন্দন চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী শ্রী বিনোদ লাহোতি, শ্রী রাজেন্দ্র সিং (সুখমণি গ্রুপ),সেন্ট থমাস স্কুল,কলকাতা-র সেক্রেটারি শ্রী জন ঘোষ,কারেকশনাল সার্ভিসের এডিজি-আইজি শ্রী পীযূষ পান্ডে সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এদিন অনুষ্ঠানে গ্লোবাল চেয়ার পার্সন এবং রক্ষক ফাউন্ডেশনের ম‍্যানেজিং ট্রাস্টি শ্রীমতী চৈতালি দাস জানান, পাটজাত দ্রব্যকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াস আমার বহুদিনের। হারিয়ে যাওয়া এই শিল্প বিশ্বের দরবারে এক নজির গড়ায় আমরা সত্যিই আনন্দিত। ভারতীয় পাটের মাধ্যমে এক সবুজ, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই।

পাট শিল্প হলো ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রাচীন শিল্প। স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই এই শিল্প এরাজ্যের কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করলেও বর্তমানে এই শিল্প বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। উপরোন্তু মহামারী করোনার প্রভাব পাট উৎপাদনে এনেছে চরম আঘাত।

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি শ্রী বিনীত কুমার জানান, আজকাল ধীরে ধীরে প্লাসটিকজাত ব্যাগের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কমছে । এরফলে একদিকে যেমন পাট ব্যাগের চাহিদা বাড়বে তেমনি তৈরি হবে কর্মসংস্থান।

পৃথিবীর এই বৃহত্তম পাট ব্যাগের জন্য স্পন্সারের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট,কলকাতা, ন্যাশনাল জুট বোর্ড, বিনোদ লাহোতি, রক্ষক সুবিধা প্রাইভেট লিমিটেড, গোল্ডেক্স পেন এবং শ্রী চিরন্তন সরকার।

এদিন উপস্থিত শ্রী বিনোদ লাহোতি জানান, এ এক গৌরবময় দিন। ভারতের প্রাচীনতম শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। এমতাবস্থায় রক্ষক ফাউন্ডেশনের এই প্রয়াস এক কথায় প্রশংসনীয়।

এই স্কুলের সাথে আমার সম্পর্ক বহুদিনের । রক্ষক ফাউন্ডেশন অনবরত মানুষের সেবার্থে কাজ করে চলেছে। যখনই আমি এই মহান কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত হলাম ঠিক তখনই স্কুলের প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলি এবং তার সহায়তায় আমরা এই স্কুলের ক্যাম্পাসে কাজ করার সুযোগ পাই। সকলের আন্তরিকতায় আমি সত্যি ধন্য, এমনি মত ব্যবসায়ী শ্রী রাজেন্দ্র সিং-এর।

নতুন বছরে এক গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী রইল তিলোত্তমা ।

Author