নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে আপনার সঙ্গী বেটা গ্লো
নিজেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে চান ছোট থেকে বড় সকলেই। বয়স ধরে রাখা যায় না। কিন্তু আজকের দিনে সঠিক পদ্ধতি এবং উপায় গ্রহণ করলে মানুষ অনেক বয়স পর্যন্ত সুস্থ আর সুন্দর থাকতে পারেন। তাই বয়সের বলিরেখাকে তুড়ি মেরে নিজের রূপ যৌবন ধরে রাখতে হলে আপনাকে পাশে রাখতে হবে বেটা গ্লো। আপনার জন্য অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে অ্যাসথেটিক প্রযুক্তিকে এক নয়া মাত্রা দিয়েছেন লেজার বিউটি ক্লিনিক কেয়ারের কর্ণধার Kaberi Saha।
সালটা ১৯৭৯, তারিখ ৯ জুন অশোকনগরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন ছোট্ট কাবেরী । মধ্যবিত্ত সংসারে চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সেজ। বাবার আদর্শে বড় হতে থাকা কাবেরীর ইচ্ছে ছিল মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। আসলে সমাজ দরদী বাবা সুযোগ পেলেই অসহায়ের পাশে দাঁড়াতেন। তাই সেই শিক্ষা ছিল কাবেরীর অন্তরেও। দুর্গানগরে পড়াশোনা করতে করতেই ঠিক করেছিলেন এমন কিছু করবেন যাতে মানুষের ভাল থাকার ইচ্ছে পূরণ সম্ভব হয়। তাই অ্যাসথেটিক নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন। অর্থাৎ বয়স বাড়লেও কীভাবে মানুষ সুস্থ আর সুন্দর থাকতে পারেন, ত্বকে যাতে বলিরেখা বা অন্য কোনও ছোপ না পড়ে সেই জন্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি ক্লিনিক শুরু করেন। পাশে ছিলেন স্বামী ও মেয়ে। শুধু বাংলায় নয়, আসাম, ত্রিপুরা এমনকি বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর প্রোডাক্টের বেটা গ্লো-এর খবর। তিনি বলেন, “দাগ , ছোপ নিপাত যাক, মুখের ত্বকে এখন পূর্ণিমার উজ্জ্বল রাত”।
একটা মেয়ের পক্ষে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্পে অনেকটা লড়াই মিশে থাকে। কাবেরী সাহার ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই হয়েছে। করোনাকালে ব্যবসা ধাক্কা খায়। কিন্তু তখনও মনোবল হারাননি তিনি। সংসার আর কাজকে গুরুত্ব দিয়ে মন প্রাণ দিয়ে মানুষকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। এমন অনেকেই আছেন যারা মনে করেন তাঁদের দেখতে গ্ল্যামারাস নয় বলে তিনি পিছিয়ে আছেন। অনেকে মানসিক অবসাদে ভোগেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন লেজার বিউটি ক্লিনিক কেয়ারের কর্ণধার কাবেরী সাহা। শুধু তাই নয় ১০০ জন মহিলা তাঁর প্রোডাক্ট নিয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যান প্রচারে। এভাবেই তিনি স্বাবলম্বী করে তুলছেন অনেককে। আরও মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চান। লক্ষ্য অনেক বড়, কিন্তু হার না মেনে এগিয়ে যাওয়াই এখন কাবেরীর প্রধান লক্ষ্য।