সেন্টার বন্ধ না করে অভিনব প্রযুক্তি ইনস্টলেশনের দাবি

Spread the love

খবর শোনা হোক কিংবা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ নিয়ে  টিভি দেখা। অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং দূরদর্শন বহু যুগ ধরে সাধারণ মানুষকে এই পরিষেবা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চলে যখন সমুদ্র উত্তাল থেকে শুরু করে কোন ঘূর্ণিঝড় অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরা খবর জানতে হলে একমাত্র উপায় ছিল অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং দূরদর্শন।


সেই অল ইন্ডিয়া রেডিও বেশকিছু ট্রানসমিশন এবং বেশ কিছু জায়গায় সেন্টার  বন্ধ হতে চলেছে এমনই অভিযোগ জানালেন অ্যাসোসিয়েশন অফ আকাশবাণী এবং দূরদর্শন ইঞ্জিনিয়ারিং এম্প্লয়িস।


তাদের বক্তব্য অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার টেরিস্ট্রিয়াল ট্রানসমিশন গুলি সমস্ত কিছু বন্ধ করতে চলেছে ধাপে ধাপে।


৩১শে অক্টোবর ২০২১, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২১ এবং আগামী বছর ৩১ শে মার্চ এর মধ্যে সারা ভারতজুড়ে বহু স্টেশন বন্ধ করে দিতে চলেছে প্রসার ভারতী।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে AADEE র সভাপতি পুলক রায়ের বক্তব্য দীর্ঘকাল ধরে অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং দূরদর্শন সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানকালে প্রযুক্তির বিভিন্ন ধারা এসেছে এবং উন্নত প্রযুক্তির সাথে এফএম রেডিওর নতুন সংস্করণ সাধারণ মানুষের কাছে এসেছে। কিন্তু টেরিস্ট্রিয়াল অঞ্চলে যদি অল ইন্ডিয়া রেডিও স্টেশনগুলি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখানে থাকা মানুষ খুব অসুবিধায় পড়বেন।


তিনি আরো বলেন টেরিস্ট্রিয়াল অঞ্চলে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং দূরদর্শন রয়েছে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আবহাওয়া সম্পর্কে বহুদিন ধরে খবরা-খবর দিয়ে সাধারণ মানুষকে। তার কথায় যদি এই সমস্ত অ্যান্টেনা বা  স্টেশন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মৎস্যজীবীরা যারা দূর সমুদ্রের মাছ ধরতে যান তারা কোন রকম ভাবেই আবহাওয়ার কোন খবরা খবর পাবেন না এর ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলের  সাথে তাদের যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ হয়ে যাবে।


তারা বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ,আলিপুরদুয়ার, কালিংপং, পুরুলিয়া, খড়গপুর, বালুরঘাট, মালদা, ফারাক্কা , কৃষ্ণনগর ,কার্শিয়াং, মুর্শিদাবাদ, শান্তিনিকেতন, আসানসোল , বাগমুন্ডি, বলরামপুর, ঝালদা , বিষ্ণুপুর এই সমস্ত স্টেশন গুলি কে ধীরেধীরে বন্ধ করতে চলেছে প্রসার ভারতী।


তাদের মূল  দাবি এই সমস্ত স্টেশনগুলোতে বর্তমানে বেশ কিছু কর্মী কর্মরত রয়েছেন, বর্তমানে এই সমস্ত স্টেশন গুলি বন্ধ না করে এগুলিকে এফএম রেডিও অথবা ডিজিটাল প্রযুক্তির নিয়ে আসা হোক যাতে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের এবং দেশে বিদেশের খবর পাওয়া থেকে কোন ভাবেই বঞ্চিত না হন।


পুলকবাবু আরো জানান আমাদের দেশে ২৪ কোটিরও বেশি ঘরের মধ্যে ১৮ কোটি বেশি ঘরে টিভি দেখা হয় এবং ১৮কোটির মধ্যে  ৭০ লক্ষ বাড়িতে ডিটিএইচ  কানেকশন রয়েছে। দেশে এখন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন না অথবা ইন্টারনেট পরিষেবা তাদের সেই সমস্ত জায়গায় এখনও পর্যন্ত পৌঁছায়নি। অতএব সেই সমস্ত জায়গা থেকে যদি রেডিও ট্রান্সমিশনে বা চ্যানেলগুলি তার সাথে দূরদর্শনের যে চ্যানেলগুলো বন্ধ যদি করে দেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে জগতের সাথে সেই সমস্ত অঞ্চলের মানুষের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে যাবে যা অত্যন্ত সমস্যার। এছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবা কিংবা স্যাটেলাইট যেকোনো সময় বিধ্বস্ত হতে পারে ফলে এই সমস্যা আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে জানানো হয় সংস্থার তরফ থেকে।


আজ সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অনিল কুমার এস, জাতীয় মুখপাত্র চন্দ্রশেখর প্রমূখ।

Author