জমে উঠে ছিল তিন দিনের দত্তপুকুর দৃষ্টির নাট্য উৎসব ২০২৩
ইন্দ্রজিৎ আইচ
সম্প্রতি দত্তপুকুর দৃষ্টি নাট্য সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল – “দত্তপুকুর নাট্যোৎসব ২০২৩”। ১৯৯০ সালে নাট্য দল গঠনের পর থেকেই দত্তপুকুর দৃষ্টি তাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক গঠনমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে। দৃষ্টির সেই সাংস্কৃতি চর্চার আরও এক অন্যতম নিদর্শন হল এবারের এই “নাট্যোৎসব ২০২৩”। দৃষ্টির নিজস্ব শিল্পচর্চা কেন্দ্র ‘শিল্পশালা’য় শুরু হয় এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিন উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন – গোবরডাঙা শিল্পায়নের কর্ণধার ও পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাদেমির সদস্য আশিস চট্টোপাধ্যায়, গোবরডাঙা নকসার কর্ণধার আশিস দাস, ভাবনা জংশনের কর্ণধার অভীক ভট্টাচার্য এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ২১৪ নং পার্টের পঞ্চায়েত সদস্য দীপেন্দু কুমার রায় ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সুব্রত রায়।
এবারের নাট্যোৎসবের তিন দিনে মোট ছয়টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথম দিনের প্রথম নাটকটি হল- “জোনাকিরা”, নাট্যকার- দেবাশিষ হালদার, নির্দেশনা- ঐশী ভট্টাচার্য্য, প্রযোজনা- দত্তপুকুর দৃষ্টি। দ্বিতীয় নাটক – “আশ্চর্য মানুষ”, নির্দেশনা- আশিস দাস, প্রযোজনা-গোবরডাঙা নকসা। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় নাটক- “আব্বুলিস”, নাটক ও নির্দেশনা- সৌমেন রায়, প্রযোজনা-আলোর পাখি দত্তপুকুর। দ্বিতীয় নাটক – “জাঁতা বুড়ির কুয়ো “, নাট্যরূপ ও ভাবনা -ভাস্কর মুখার্জি, প্রধান উপদেষ্টা – বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য, প্রযোজনা-দত্তপুকুর দৃষ্টি।
এই নাট্যোৎসবের তৃতীয় দিন বিশেষ আকর্ষণ ছিল দত্তপুকুর দৃষ্টির নবতম প্রযোজনা – “তোমার চোখে “, নাটক ও নির্দেশনা -ঐশী ভট্টাচার্য্য, প্রযোজনা – দত্তপুকুর দৃষ্টি। দ্বিতীয় নাটক- “লাঠি”, নির্দেশনা- জীবন অধিকারী, প্রযোজনা-গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম। উৎসবের এই শেষ দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট নাট্য গবেষক ডঃ আাশিস গোস্বামী, মধ্যমগ্রাম ঋতম নাট্য গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম সেনগুপ্ত এবং গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম এর কর্ণধার জীবন অধিকারী।
তিনদিন ব্যাপী চলা এই নাট্যোৎসবের শেষদিনে দত্তপুকুর দৃষ্টির কর্ণধার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং উপস্থিত সকল অতিথি ও সাধারণ দর্শকবৃন্দেরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে আগামীতেও এই শিল্প তথা নাট্য চর্চার পাশে থাকার শপথ গ্রহণ করেন।