জমে উঠেছিলো মহাজাতি সদনে দুদিন ধরে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের ৪৬ তম সমাবর্তন উৎসব ২০২৪

Spread the love


-ইন্দ্রজিৎ আইচ

ঐতিহ্য-গুরু শিষ্য পরম্পরা আর আধুনিকতা এই সবটা মিলে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ। এই সংস্থার পথচলা শুরু হয়ে ছিলো ১৯৭৬ সালে। এই পরিষদ এখন সুবর্নজয়ন্তী বর্ষের দিকে এগোচ্ছে। উত্তর কলকাতার এই সর্বভারতীয় পরিষদে সারা ভারতের বিখ্যাত শিল্প সংস্কৃতি জগতের শিল্পীরা সংস্কৃতির সব ধারার শিক্ষা প্রদান করেন অগুণিত ছাত্রছাত্রীদের। সারা পৃথিবীতে তাদের অনেক শাখা প্রশাখা রয়েছে ৫ হাজারের ওপর।


প্রতিবছরের মতন গত ৮ ও ৯ ই মার্চ শুক্রবার এবং শনিবার মহাজাতি সদনে সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হলো ৪৬ তম সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ এর সমাবর্তন উৎসব ২০২৪।


এই সমাবর্তন উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন উপাচার্য – অধ্যাপিকা মিতা বন্দোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যশোর এর প্রাচ্য সঙ্গের প্রধান বেনজিন খান, বাংলাদেশ নওগাও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহম্মদ কায়সুদ্দিন।মঞ্চে ছিলেন এই সর্বভারতীয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপিকা অমিতা দত্ত, এই সর্বভারতীয় পরিষদের সম্পাদক কাজল সেনগুপ্ত ও যুগ্ম সম্পাদক ড:শান্তনু সেনগুপ্ত, গৌড়ীয় নৃত্য শিল্পী ড: মহুয়া মুখোপাধ্যায়, চিত্রকর সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, পন্ডিত অলোক লাহিড়ী, সঙ্গীত শিল্পী অলক রায়চৌধুরী, সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট, নৃত্যশিল্পী কোহিনুর সেন বরাট, সঙ্গীতশিল্পী চন্দ্রবলি রুদ্র দত্ত, সেতার শিল্পী মিতা নাগ, অধ্যাপক মনোজ সরকার, সঙ্গীতশিল্পী শমীক পাল, বাংলাদেশ এর দুই নৃত্য শিল্পী সুলতান মাহমুদ ও লিজা সুলতান সহ আরো অনেক গুণী ব্যাক্তিত্ব। এই বছর পরিষদের পক্ষ থেকে কলামনি পুরস্কারে দীক্ষিত করা হয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায় কে এবং প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী অনিতা মল্লিককে। সকলেই এই পরিষদের অগ্রগতির ভুয়সী প্রসংশা করেন। এই বছর সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় পুরস্কার পেলেন মনোজ কুমার বিশ্বাস, অমল কুমার পান্ডা, অমিতাভ চক্রবর্তী, শঙ্কর রক্ষিত, রিতা দে, অশোক সেনগুপ্ত, জগদীশ চক্রবর্তী, সুকুমার কর, প্রনবেন্দু দাস, জয়ন্ত কুন্ডু এবং জয়দেব দে।


অনুষ্ঠানে দুদিন ধরে এই পরিষদের ছাত্র ছাত্রীরা পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের এই সমাবর্তন উৎসবে পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীদের হাতে প্রসংশাপত্র ও মেডেল তুলে দেন মঞ্চের অতিথিরা। নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, যোগোব্যায়াম সহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সর্বভারতীয় পরিষদের এই সন্মান তুলে দেন বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গ। এই সমাবর্তনের শেষদিন ওড়িশি, ভরত নাট্যম ও লোকনৃত্যে এবং সৃজনশীলনৃত্যে দর্শকদের নজর কাড়ে কাভিয়া দাস, অন্বেষা সেন ও পৌশালী ঘোষ এবং সোহিনী চক্রবর্তী। স্নিহাশিস আচার্য্য র গলায় রতনতনু ঘাটির কবিতা “হোস্টেলের চিঠি” মন্দ লাগেনা।

ভালো লাগে তন্নিষ্ঠা সেনগুপ্ত র গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত “বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দ ধারায়”।সমাবর্তনের এই দুদিন এই পরিষদের ছাত্র ছাত্রীদের নাচে, গানে ও আবৃত্তিতে জমে উঠে ছিলো। অঙ্কনের জন্যে পুরস্কৃত হলেন সম্প্রীতি নস্কর। তার হাতে প্রসংশাপত্র তুলে দেন বিখ্যাত চিত্রকর সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়। দুদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন শুভদীপ চক্রবর্তী ও দেবব্রত চক্রবর্তী। সমগ্র অনুষ্ঠান এর পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন সর্বভারতীয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ড: শান্তনু সেনগুপ্ত।

Author