আদ্দ্যাকলা তির্থমের অষ্টাদশ বৎসর পূর্তি উওম মঞ্চে
আদ্যাকলা তীর্থম (ওড়িশি এবং সৃজনশীল নৃত্যের একটি প্রতিষ্ঠান) এবং প্রয়াস (বিশেষ শিশুদের জন্য পারফর্মিং আর্টের ভিত্তি) এর প্রতিষ্ঠার অষ্টাদশ বছর উদযাপন হয়ে গেল উত্তম মঞ্চে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ওডিসি নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্যপরিচালক অভিরূপ সেনগুপ্ত হলেন আদ্দ্যাকলা তীর্থম এবং প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষ। তাঁরই উদ্দ্যোগে মঞ্চস্থ হল এক অপরূপ নৃত্যকলা।
এদিনের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বিশিষ্ট এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় এবং ভারতীয় অভিনেত্রী এবং মডেল রিচা শর্মা এবং ডিজাইনার পাপরি জৈন এবং কসমেটোলজিস্ট চিকিৎসক সায়ন্তন দাস সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠানের সংগৃহীত তহবিল বিশেষ ও শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানান সংস্থার পক্ষে অভিরূপ সেনগুপ্ত। এই বছরের অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল প্রখ্যাত ওড়িশি নৃত্যশিল্পী কুমার ভীমসেন এবং তাঁর দল। তাঁদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন সকলের নজর কাড়ে। উপরন্তু, আদ্দ্যাকলা তীর্থমের ছাত্ররা তাদের “গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু”, “বসন্ত পল্লবী” সহ আরও অনেক সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করেন। তদুপরি, এই অনুষ্ঠানের একটি প্রধান আকর্ষণ ছিল অবিরূপ সেনগুপ্তের কালী স্তূতির স্ব-উৎপাদন যা দেবী কালীর দ্বৈততাকে ধ্বংসকারী এবং সৃষ্টিকর্তা হিসাবে চিত্রিত। যার মধ্যে দেবী কালী এবং ভগবান কৃষ্ণের ঐশ্বরিক সংমিশ্রণ সহ প্রদর্শিত হয়।
শ্রেয়সী, অনিতা, পূজা এবং অভিরূপ সেনগুপ্তের সঙ্গে সাঁচি, আকাশ, হৃষিতা, দেবিকা, অর্চিশা, মনিকার নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে, দুই বছরের শিশু থেকে চল্লিশ বছর বয়সী ব্যক্তিদের দ্বারা “আজাদী কা অমৃত মহোৎসব” বিষয়ের উপর দেশাত্মবোধক গানের বিভিন্নরূপে নৃত্যের উপস্থাপন এবং মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের উপর বিশেষ শিশুদের দ্বারা। নৃত্যটি পরিবেশন ছিল দৃষ্টি নন্দন।
সমগ্র অনুষ্ঠানের নৃত্য ভাবনা ও নৃত্যপরিচালনায় ছিলেন অভিরূপ সেনগুপ্ত। এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মহুয়া রায়।