মদন মিত্র হাতধরে বাইপাশের ধারে ফুড স্টুডিও রেড পিচার এখন রেস্তোঁরা জগতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করলো

রুবি মোড় ছাড়িয়ে একটু এগোলেই বাইপাসের ধারে রাখী পূর্ণিমার দিনে শুভ উদ্বোধন হলো রেড পিচার রেস্তোঁরার। একরাশ রাখী পড়া হাতে ভি ফর ভিক্টরি আঙ্গুল তুলে সন্ধ্যার কিছু পড়ে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, এই মুহুর্তে বিধায়ক ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মদন মিত্র। এই মুহুর্তে তাঁর পরিচয়ের তালিকায় আর এক বিশেষণ যোগ হয়েছে। বাংলা ছবি ওহ লাভলিতে তিনি অভিনেতা। রমরমিয়ে চলছে তাঁর অভিনীত ছবি। ফলে প্রাক্তন মন্ত্রীদের মধ্যে মদন মিত্র এখন ছেলে বুড়োর সবার চর্চার বিষয়।এদিন মদন মিত্র সাংবাদিকদের দাবি মিটিয়ে পেশাদার মডেলের মত নানা ভঙ্গিমায় ছবি তুললেন। ফিতে কেটে আর কেক কেটে এই ফুড স্টুডিওর উদ্বোধনও করলেন। তার সঙ্গে বললেন বাঙালি উদ্যোগে আবার একটি সুসজ্জিত খাবারের ঠিকানা রেড পিচার যোগ হলো পুজোর মুখে। খাদ্যের মান ও পরিমাণগত মূল্যায়নে তিনি বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দিলেন এই রেড পিচার ফুড স্টুডিওর দম্পতি কর্ণধার সৌম্যজ্যোতি চৌধুরী ও অদিতি চৌধুরীকে। পঞ্চাশ আসন বিশিষ্ট প্রায় ২২০০ স্কোয়ার ফুটের এই রেস্তোরাঁর কর্ণধার দম্পতি জানালেন,তাঁদের লেক গার্ডেনস ও বাইপাসের ধারে নতুন আউটলেটে বাজারের কেনা মশলা ব্যবহার হয় না। ভেন্ডার থেকে কেনা হলেও প্রতিটি উপাদান পরীক্ষা করে আমরা ব্যবহার করি।আমরা দুজনের জন্য আনলিমিটেড ব্যুফে রেখেছি মাত্র ৯৯৯ টাকায়। অর্ডার অনুযায়ী টলি ট্রে হাজির হয়ে যাবে গ্রাহকের টেবিলে। তাঁদের স্বাদ অনুযায়ী লাইভ রান্নার ফিনিশিং টাচ আমরাই একমাত্র দিচ্ছি যা তারকাখচিত হোটেল ছাড়া পাওয়া যায় না। রয়েছে মনপসন্দ মকটেল। ব্যুফেতে থাকছে কুলফি।চৌধুরী দম্পতি আরও জানলেন,আমরা বাঙালি, খাদ্যরসিক। তাই বাঙালির এই সুনাম আমরা বজায় রাখতে চাই। গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ আমাদের নতুন এই স্টুডিওতে এসে চেখে দেখুন। হলফ করে বলতে পারি একবার এলে বার বার আসবেন। ব্যুফে ছাড়াও আমরা রেখেছি উত্তর ভারতীয় খাবারের সঙ্গে রাজকীয় মোঘল খানা। রয়েছে হরেক কাবাব। যা আমরা আফগানি কায়দায় পরিবেশন করি। বাড়তি আকর্ষণ তালিবান স্যুপ। কাশ্মীরি পোলাও, নান রুটি ছাড়াও থাকছে ল্যাম্ব রোস্ট। নিরামিষাশীদের জন্যও রয়েছে নানা আয়োজন। ব্যুফে নিতে আসতে হবে বেলা সাড়ে বারোটা থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে।