দেবমিত্রা সেনগুপ্ত র ভাবনা, পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো ওড়িশি নৃত্যানুষ্ঠান” হরি হর ”

–ইন্দ্রজিৎ আইচ
বিশ্বের পালনকর্তা শ্রী হরি যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন , আবারো হবেন, পৃথিবী কে পাপমুক্ত করে রক্ষা করতে, শ্রী হরি সেই দশ অবতারের বর্ণনা করে এক অসাধারণ ওড়িশি নৃত্যানুষ্ঠান
উপস্থাপিত করলো কলকাতা ময়ূর ললিত ডান্স একাডেমী। হরিহর… যেমন সৃষ্টির পালনকর্তা হরি, তেমনি নুতন প্রাণের সঞ্চার কে ত্বরাণ্বিত করতে জীর্ণ পুরাতন এর ধ্বংস কর্তা হর বা মহাদেব…
এঁদের মিলিত রূপ শংকরনারায়ণ…
সেই হরি যার অর্ধাঙ্গিনী মা লক্ষ্মী, হর কে যুগ্ম রূপে দেখি পার্বতী র সাথে অর্ধনারীশ্বর স্তোত্রে
সেই হরি যাকে দেখি গোপাঙ্গনা দের সঙ্গে নৃত্যরত, তেমনি হরকে খুঁজে পাই আনন্দাতান্ডব এ , হরি যমুনা নদীর কালো জলে ধ্বংস করেন কালিয় নাগ কে, হর সর্বদেহে ধারণ করেন সর্পালঙ্কার…
হরিহর র মিলিত রূপ কে ওড়িশি নৃত্য র মাধ্যমে উপস্থাপিত করলো গত ৬ ই মার্চ ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ICCR হলে কলকাতা ময়ূর ললিত ড্যান্স একাডেমী।
নির্দেশনা, পরিচালনা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন দেবমিত্রা সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিলো অতিথি বরণ অনুষ্ঠান। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন
ডাঃ সুজিত সরখেল (সাইকিয়াট্রিস্ট এবং অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি বিভাগ, এসএসকেএম হাসপাতাল, কলকাতা), অরূপরতন মুখোপাধ্যায়, (স্পেশাল সেক্রেটারি, পশ্চিম বঙ্গ সরকার),
কৌশিক রায় ( উদ্যোগপতি ), অতিথিরা সকলেই নৃত্যশিল্পী দেবমিত্রা সেনগুপ্ত র ভুয়সী প্রশংসা করেন। এইদিন সন্ধায় মঞ্চস্থ হলো দশাবতার , শ্রিতকমলা, অর্ধনারীশ্বর, শিব বন্দনা, কৃষ্ণতাণ্ডব, ললিতলবঙ্গলতা, হরি হর পঞ্চকম ওড়িশি নৃত্য। হরি হর পঞ্চকম নৃত্য রচনা করেছেন দেবমিত্রা, সংলাপ রচনা করেছেন পণ্ডিত নিত্যানন্দ মিশ্র। নৃত্যে অংশ গ্রহণ করেন অম্বিকা, পৌলমী, স্নিগ্ধা, ভামতি, প্রজ্ঞা, দেবস্মিতা, আহেলি, শ্রবনা, মহুয়া, ঐশী, শীর্ষা, এশা, তমোহা, দেবমিত্রা সেনগুপ্ত সহ মোট ৪৭ জন নৃত্য শিল্পী। দেবমিত্রা সেনগুপ্ত ওড়িশি নৃত্যে তালিম নিয়েছেন প্রখ্যাত ওড়িশি নৃত্য গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র এবং সুতপা তালুকদার এর কাছে। ২০০৪ সালে দেবমিত্রা সেনগুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেন ময়ূর ললিত ড্যান্স একাডেমী। তাঁর এই দিনের নৃত্যানুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিলেন ভারত সরকার সংস্কৃতি মন্ত্রক। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রেডিও জকি তাপস চৌধুরী।সব মিলিয়ে এই পুরো ওড়িশি নৃত্যানুষ্ঠানটি সকলের নজর কাড়ে।