নাটক “হিপ্পোলিটাস” গ্রীক দেশের এক নারীর যৌণ বাসনা আর অবৈধ প্রেমের কাহিনী
ইন্দ্রজিৎ আইচ
সাউথ গড়িয়া আবিষ্কার থিয়েটার গ্রুপ এর দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। ২০০১ সালে তারা প্রথম নাটকটি মঞ্চে উপস্থাপনা কৈলাস কান্ড। এই নাটকটি ১৭২ টি মঞ্চায়ন হয় এবং পরবর্তী সময়ে যে প্রযোজনা গুলি খুব উল্লেখযোগ্য সেগুলি হোলো – ক্যান্সার, এক সাধারণ মেয়ের উপাখ্যান, সময় তরী, 64 Southern Avenue, ক্যাবলা কর্ণ, মানষচক্ষু, দ্রোহজ, The Vision Of Nature, মেধা বিক্রি আছে। এই প্রতিটি নাটক কলকাতা ও কলকাতার বাইরে জেলায় বেশ কিছু অভিনয় ধারাবাহিক ভাবে করে চলছে। ২০০১ সাল থেকে যে দলটি তৈরী হয়েছিল তার প্রায় ২৩ বছর অতিক্রান্ত হয়ে ২৪ বছরে পদার্পণ করবে। দলের জন্মদিন ২৫ শে ডিসেম্বর ২০০১।
গত ৩ রা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধায় উত্তরপাড়া গন ভবনে মঞ্চস্থ হলো সাউথ গড়িয়া আবিষ্কার থিয়েটার গ্রুপের নতুন নাটক হিপ্পোলিটাস।
প্রাচীন গ্রীক ট্যাজেডি রচয়িতা ইউরিপিদেস – এর ৪২৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অভিনীত পুরস্কারপ্রাপ্ত নাটক ছিলো ‘হিপ্পোলিটাস’। সেই গ্রীক নাটকটিকে এবার মঞ্চে উপস্থাপনা করলো সাউথ গড়িয়া ‘আবিষ্কার’ থিয়েটার গ্রুপ।সেই সময় নারীর অপূর্ণ যৌনবাসনা ও অবৈধ প্রেমের কাহিনীকে ভিত্তি করে এই নাটকটি রচিত হয়েছিল। সমুদ্র উপকূলবর্তী ত্রয়েজেন নগরীর রাজা থেসেউসের বীর পুত্র চিরকুমার ব্রতধারী ‘হিপ্পোলিটাস’ ছিলেন শিকারি দেবী আরতেমিসের পরম ভক্ত। এখন থেকেই কাহিনীর সুত্রপাত। একদিকে আরতেমিস আর অন্যদিকে আফ্রোদিতে দুই দেবীর প্রাতিষ্ঠানিক লড়াই এর ফলশ্রুতি এই নাটকের উপজিব্য। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন হিপ্পোলিটাস-সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, থিসিয়াস – হরপ্রসাদ চক্রবর্তী, ফেদ্রা-স্বাগতা সেন, ধাত্রী – সোমা চক্রবর্তী, ক্যাসান্ড্রা-কৌমুদী ব্যানার্জী, ফ্রিজিয়া – আঁখি মেহেক, জোকাষ্টা-স্নেহা পাকড়াশি, অ্যাডমেটাস-অয়ন কর্মকার, ক্রাজোথেমিস – সায়ন্তিকা মন্ডল, হেফিসথাস – সোমনাথ নস্কর, হীমন- শ্রবণ বৈদ্য, আফ্রেদিত – প্রীতা মজুমদার, আরতেমিস-মৌমিতা অধিকারী, ঈজিসথাস-অভ্রনীল রায়, রাজ কর্মচারী – অভিষেক ব্যানার্জী প্রমুখ কুশীলবরা। নাটকটিকে বঙ্গানুবাদ করেছেন নিরুপ মিত্র, আলো এবং পোশাকে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন বাবলু সরকার ও দেবব্রত দাস,অঙ্গবিন্যাস -আবহ এবং মেকাপে ছিলেন কাজল শম্ভু, অয়ন কর্মকার, অয়ন ঘোষ।নাটকটির সম্পাদনা, মঞ্চ পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন প্রিয়ব্রত চট্টোপাধ্যায়। এক কথায় টান টান উত্তেজনায় ভরা এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের এই নাটক সকলের মন ভরাবে।