স্বাস্থ্য বিমার বিবর্তন –কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে (পূর্বাঞ্চল)

Spread the love

আই সি আই সি আই লোম্বার্ড জি আই সি, কোভিড সঙ্কটের পর স্বাস্থ্য বিমা সম্বন্ধে ক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন বোঝার জন্য ভারত জুড়ে একটা সমীক্ষা চালিয়েছিল। তারা মোট ৩৩০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৬৬ জনের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প ছিল, আর ৬৪ জনের ছিল না।

মুখ্য প্রভাব:

সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যে পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে কলকাতায়, কোভিড-১৯-এর পরে স্বাস্থ্য বিমা কেনার ধারায় খুব একটা বদল হয়নি। মাত্র ৯% ক্রেতা গত ৬ মাসে কোন নতুন পলিসি কিনেছেন, আর ৬৮% ক্রেতার এমন স্বাস্থ্য বিমা পলিসি রয়েছে যা এক বছরেরও বেশি আগে কেনা। এজেন্টরা এখনো স্বাস্থ্য বিমার প্রাথমিক উৎস। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫৭% তাঁদের দিয়ে বিমা করিয়েছেন। তার পরেই আছে ওয়েবসাইট থেকে বিমা কেনা লোকেদের সংখ্যা, যা ২৪%। সমীক্ষাও এ-ও প্রকাশ পেয়েছে যে অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী কোন ব্র্যান্ডের স্বাস্থ্য বিমা কিনবেন, তা পছন্দ করার ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধব,পরিবার আর সহকর্মীদের পরামর্শের উপরেই নির্ভর করেন।

কেনার কারণ:

সমীক্ষার উত্তরদাতাদের মধ্যে যাঁরা স্বাস্থ্য বিমা পলিসি কিনেছেন, তাঁদের ৮৯% আকস্মিক প্রয়োজনে খরচের ব্যবস্থা করে রাখার কথা ভেবে কিনেছেন। দ্বিতীয় প্রধান কারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা। ৫৩% বলেছেন তাঁরা এই কারণে স্বাস্থ্য বিমা কিনেছেন। লক্ষণীয়, ৩১-৩৫ বছর বয়সী ক্রেতাদের ৫৪% বলেছেন তাঁদের স্বাস্থ্য বিমা কেনার প্রাথমিক কারণ আয়কর ছাড় আদায় করা। চলতি সঙ্কট দেখে ৭৬% পলিসি মালিক তাঁদের সাম অ্যাশিওর্ড বাড়াতে চান।

যাঁরা বিমা কেনেননি, তাঁদের না কেনার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হল আর্থিক অসুবিধা এবং কর্মচারী বিমা। অবশ্য সমীক্ষার আওতায় আসা লোকেদের মধ্যে ৭০% মনে করেন কর্মচারী বিমা আর যথেষ্ট নয়। তাঁরা ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত পলিসি কেনার কথা ভাবছেন।

নবীকরণ ও দাবি আদায়:

নবীকরণ ও দাবি আদায়ের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতারা কোভিড-১৯-এর আগে পর্যন্ত তাঁদের বর্তমান বিমা কোম্পানির নবীকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে সন্তুষ্ট ছিলেন। আমরা দেখেছি ৮৬% পলিসিগুলোর নবীকরণ করিয়েছেন, যার মধ্যে ৩৯% অনলাইনে নবীকরণ করিয়েছেন। ৩৩% পলিসি মালিক অতীতে বিমার টাকা দাবি করেছেন, ২৩% ক্যাশলেস দাবি জমা দিয়েছেন।

অতিমারীর প্রভাব:

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে অতিমারী এগোবার সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ পলিসি মালিক মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজ করা, ঘরোয়া টোটকা নেওয়া আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার মত মৌলিক সাবধানতাগুলো অবলম্বন করেছেন। দেখা গেছে স্বাভাবিকতা ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাঁদের স্বাস্থ্য বিমা নেই, তাঁদের চেয়ে যাঁদের বিমা রয়েছে তাঁরা বেশি সাবধান হয়েছেন। আরো দেখা গেছে, বয়স্ক লোকেদের চেয়ে অল্পবয়সীরা সাবধানতার প্রোটোকলগুলো বেশি মেনে চলেছে। অবশ্য তা হয়ত এই কারণে,যে অল্পবয়সীদের তুলনায় বেশি সংখ্যক বয়স্ক লোক বাড়িতে থেকেছেন।

Author